প্রতি ১০০ জন গর্ভবতী মহিলার মধ্যে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জনের গর্ভপাতের মতো ঘটনা ঘটে থাকে। কিন্তু এই গর্ভপাত যদি দুইয়ের অধিক বার হয় তখন সেটা স্বাভাবিক বলে মনে করা হয়না এবং তার পেছনে নির্দিষ্ট কিছু কারণ থাকে।
২০২৩ সালের প্রথম যখন এই পেশেন্টটি আমার কাছে আসে সাধারণত চারবার গর্ভপাতের সমস্যা নিয়ে আসে। তার সাথে প্রায় দু-তিন বছর অন্তরে যখন সে কনসিভ করতো প্রথম তিন মাসের মধ্যে তার মিসক্যারেজ হয়ে যেত। সেই অনুযায়ী তাকে কিছু রিপোর্ট করাতে দেওয়া হয় তার এই মিসক্যারেজের কারণ গুলো যাতে আরো ভালোভাবে জানা যায় এবং সাথে সাথে তাদের নরমাল ট্রাই এর পরামর্শ দিই।
কিছু মাস অতিক্রম হওয়ার পর তাদের যখন প্রেগনেন্সি পজেটিভ আসে না তারা আমার কাছে আসে আবার এবং পরবর্তীতে তারা কি করবে সেই ব্যাপারে জানতে চায়।
তাদের IUI আর IVF দুটির পরামর্শ দি। তারা IVF করানোর সিদ্ধান্ত নেয় কারণ তাতে প্রেগনেন্সি আসার সম্ভাবনা অনেক গুণ বেড়ে যায়।
IVF এর সমস্ত পদ্ধতি কমপ্লিট হওয়ার পর প্রথম ভ্রূণ স্থাপনের পর তার প্রেগনেন্সি পজিটিভ আসে এবং তার পূর্ববর্তী চারটে মিসক্যারেজের কথা মাথায় রেখে প্রথম দিন থেকেই সেই ভাবেই ওষুধ ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়।
প্রথম তিন মাস তাকে খুব কঠোর মনিটরিং এ রাখা হয়। এবং তিন মাস কেটে যাওয়ার পর পর আমরা একটু নিশ্চিন্ত হই। প্রেগনেন্সির বাকি trimester এ তার তেমন কোন সমস্যা হয়নি এবং খুব ভালো মতোই সেই নয় মাস পেরিয়ে এক পুত্র সন্তানকে নিজের ঘরে আনতে পেরেছে।IVF এ সঠিক ভ্রূণ নির্ধারণ করা আর প্রথম ত্রৈমাসিকে LMWH ব্যবহার করা- এই পদক্ষেপের ফলেই miscarriage প্রতিরোধ করা সম্ভবপর হয়েছে ।
